সিলেটে অগ্রিম বন্যার আশঙ্কা, প্রস্তুত প্রশাসন

সিলেট অঞ্চলের নদীর পানি বাড়ছে, বন্যা মোকাবেলায় প্রস্তুত প্রশাসন

মৌসুমি বায়ুর অগ্রগতি ও পার্শ্ববর্তী ভারতের মেঘালয় ও আসামে টানা ভারী বর্ষণের প্রেক্ষাপটে সিলেট বিভাগে অগ্রিম বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক ও আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ এক পূর্বাভাসে জানিয়েছেন, ২৭ থেকে ৩১ মে’র মধ্যে একটি ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হতে পারে এবং জুনের প্রথম দশ দিনজুড়ে সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সিলেট, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগে মাঝারি থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এর ফলে ৫ থেকে ১৫ জুনের মধ্যে এসব অঞ্চলে বন্যা দেখা দিতে পারে।

ইতোমধ্যে সিলেটের বিভিন্ন নদনদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদিও এখনো কোনো নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেনি, তবুও প্রবল বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে আকস্মিক বন্যার শঙ্কা করা হচ্ছে।

জাফলং, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলার নদীতীরবর্তী এলাকায় পাহাড়ি ঢলের কারণে প্রবল স্রোত ও ভাঙনের খবর পাওয়া গেছে। জাফলংয়ের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হওয়ায় বন্ধ রাখা হয়েছে সব ধরনের পর্যটন কার্যক্রম।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, দেশের অভ্যন্তরে বৃষ্টিপাতের কারণে আপাতত বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা না থাকলেও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে তা সিলেটে হঠাৎ বন্যা ডেকে আনতে পারে।

সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মোহাম্মদ মাহবুব মুরাদ বলেন, “বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি। উদ্ধার সরঞ্জাম ও নৌকা প্রস্তুত রয়েছে, সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনকে সতর্ক অবস্থানে রাখা হয়েছে।”

আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশের পূর্বাভাস অনুযায়ী, জুনের প্রথমার্ধে ভারী বর্ষণের ঘনঘটা থাকায় এই সময়টি বন্যার জন্য অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন