সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার কালিবাড়ি বাজারে ১২ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের মূল অভিযুক্ত হলেন নবদ্বীপ বৈদ্য (৫৫), যিনি উপজেলার লাউতা ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং দীর্ঘদিন ধরে ওই বাজারের একটি টেইলার্সের দোকান পরিচালনা করছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার পর প্রথমে বাজার কমিটি বিষয়টি আপস-মীমাংসার মাধ্যমে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবার বিয়ানীবাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং ভুক্তভোগী বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
যেভাবে ঘটনাটি প্রকাশ পেল
ঘটনাটি ঘটে গত শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের সময়। স্থানীয় কালিবাড়ি বাজারে নবদ্বীপ বৈদ্যের টেইলার্সের দোকানে ওই কিশোরীকে সন্দেহজনক অবস্থায় দেখতে পান কয়েকজন যুবক। তারা তাৎক্ষণিকভাবে ভিডিও ধারণ করেন এবং কিশোরীর সঙ্গে কথা বলার পর যৌন নির্যাতনের বিষয়টি জানতে পারেন।
ঘটনার পরপরই বাজার বণিক সমিতি বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নেয়। অভিযোগ উঠেছে, তারা ভুক্তভোগীর পরিবারকে ভয় দেখিয়ে বিষয়টি গোপন রাখতে চাপ দেয়। বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সন্দ্বীপ পাল বলেন, “আমরা ঘটনা জানার পর তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছি। ঘটনাটি সত্য-মিথ্যা যাচাই করার সুযোগ তখন ছিল না।”
অন্যদিকে, ভুক্তভোগীর বাবা জানান, তারা এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা না হওয়ায় প্রথমে ভয়ে মুখ খোলেননি। পরে স্থানীয় কিছু যুবকের সহায়তায় তারা আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার সাহস পান। তিনি বলেন, “আমার মেয়ের সঙ্গে যে অন্যায় হয়েছে, তার বিচার চাই। আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।”
কিশোরীর পরিবার জানিয়েছে, প্রথমে তারা মেয়েকে বিয়ানীবাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান এবং পরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করেন।
বিয়ানীবাজার থানার ওসি (তদন্ত) ছবেদ আলী বলেন, “আমরা কিশোরী যৌন নির্যাতনের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আইনি প্রক্রিয়া অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।”