রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে সভা-সেমিনার, শোভাযাত্রা ও নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, নারীর সম্ভাবনাকে উৎপাদনমুখী কাজে যুক্ত করে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে। বাংলাদেশের নারীরা শুধু জাতীয় পর্যায়েই নয়, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও নিজেদের মেধা ও দক্ষতার প্রমাণ রাখছেন। নারীদের অবদানকে স্বীকৃতি দিতে ‘অদম্য নারী পুরস্কার’ ও ‘বেগম রোকেয়া পদক’ প্রদানসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
১৯৭৫ সালে জাতিসংঘ ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এর পর থেকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নারী অধিকার ও ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে দিনটি উদযাপিত হচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বাণীতে আরও উল্লেখ করেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নারীদের সাহসী ভূমিকা অনস্বীকার্য। তিনি স্মরণ করেন, গত জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে নারীরা সম্মুখসারিতে ছিলেন। লাখো ছাত্রী রাস্তায় নেমে দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন, অনেকেই শাহাদাতবরণ করেছেন। তিনি তাঁদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং সকল জুলাই যোদ্ধার প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন।