সাপ্তাহিক সবুজ প্রান্ত :::
জকিগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন নিয়ে প্রকাশ্যে অভিযোগ তুলেছেন দুই প্রতিদ্বন্ধি মেয়রপ্রার্থী। তারা হলেন আওয়ামীলীগের বিদ্রোহীপ্রার্থী জগ মার্কার প্রতিনিধি ফারুক আহমদ ও পৌর আল-ইসলাহ'র সভাপতি মোবাইল মার্কার প্রতিনিধি মাও. কাজী হিফজুর রহমান। এই নির্বাচনে আ'লীগনেতা ফারুক আহমদ পেয়েছেন ২০৮১ ভোট। মাত্র ২ ভোটের ব্যবধানে তিনি হেরে যান। অপরদিকে মাও. কাজী হিফজুর রহমান পেয়েছেন ১৯৮৫ ভোট। অর্থাৎ আরোও ৯৮টি ভোট বেশী হলে তিনি নির্বাচিত হতে পারতেন।
মাও. কাজী হিফজুর রহমান কারচুপি করে ভোটের বাক্স বদলে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ এনেছেন। ফেইসবুকে আপলোডকৃত এক ভিডিওতে দেখা যায় তিনি কেছরী ও বিলেরবন্দ কেন্দ্রে প্রকাশ্যে ব্যালেট ভর্তি বাক্স পরির্তনের অভিযোগ আনেন এবং পরবর্তিতে তিনি এ ব্যাপারে মামলা করবেন বলেও জানান। তিনি জানান, নির্বাচন কমিশন তাদের আশ্বস্থ্য করছিল প্রতিটি কেন্দ্রে ১ জন করে নির্বাহী ম্যাজেষ্টেট থাকবেন। কিন্তু বাস্তবে কোন কেন্দ্রে গিয়ে ম্যাজেষ্টেটের দেখা পাওয়া যায় নাই। এমনকি অনেক ভোটকেন্দ্রে প্রার্থীদের ঢুকতে পর্যন্ত বাধা দেয়া হয়েছে। তিনি পৌরসভার ৬,৭,৮ ও ৯ নং কেন্দ্রে ভোট পূনঃ নির্বাচনের দাবী জানান।
আরেক সতন্ত্রপ্রার্থী ফারুক আহমদ নির্বাচনে ভোট পুন:গণনার দাবী জানিয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পৌরসভার ৪, ৬ ও ৯ ওয়ার্ডে কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন কমিশনের কাছে ভোট পুন:গণনার দাবী জানিয়েছেন।
সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা শাদমান সাকীব জানিয়েছেন, ফারুক আহমদ কয়েকটি ভোট সেন্টারে ভোট পুন:গণনার দাবী জানিয়ে রির্টানিং কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত দাবী জানিয়েছেন। এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। পুন:গণনা বিষয়ে রির্টানিং কর্মকর্তা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন।
৬,৭,৮ও৯নং ওয়ার্ডে পুনরায় নির্বাচন দেয়া হোক।এ নির্বাচন সুষ্ঠু নির্বাচন হয় নি। আমরা ভোটার হিসেবে পুনরায় সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বলে আশাবাদি।
উত্তরমুছুন