গোয়াইনঘাটে কিনাই ছড়া থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন: বসতবাড়ি, জমি ও মসজিদ ঝুঁকিতে


গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের নারাইনপুর (মাঝর টুল) এলাকায় কিনাই ছড়া থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে ফসলি জমি, বসতবাড়ি ও একটি মসজিদ ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় কয়েকজন ব্যক্তি কিনাই ছড়ার বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে বালু উত্তোলন করে তা বিক্রি করছেন। এতে ছড়ার তীরবর্তী জমির মাটি ক্ষয়ে যাচ্ছে, আর মসজিদ ও আশপাশের ঘরবাড়ি দেবে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে নারাইনপুর গ্রামের সমর আলীর ছেলে মো. ইসলাম উদ্দিন সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রতন কুমার অধিকারীর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, স্থানীয় কেফাত উল্লাহ, লোকমান আহমদ ও কামাল আহমদ অবৈধভাবে বালু তুলছেন, যার ফলে তার ও প্রতিবেশীদের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

স্থানীয়দের দাবি, গত ৫ অক্টোবর তিনটি মৌজার পক্ষ থেকে কিনাই ছড়া ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকায় লিজ দেওয়া হয়েছে। তারা জানান, এই অর্থ মসজিদ ও কবরস্থানের উন্নয়ন কাজে ব্যয় করা হচ্ছে। তবে কিছু এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন, লিজের নামে অনিয়ম চলছে এবং প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই বালু তোলা হচ্ছে।

ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিনহাজ উদ্দিন বলেন, “ইসলাম উদ্দিন তার আপন ভাই-ভাতিজাদের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধে রয়েছেন। অভিযোগে যাদের নাম আছে, তারা নিরপরাধ।” তিনি আরও জানান, “প্রতিবছর কিনাই ছড়া লিজ দিয়ে ওই টাকায় মসজিদ ও কবরস্থানের উন্নয়ন করা হয়।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রতন কুমার অধিকারী বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তবে ব্যস্ততার কারণে এখনো ঘটনাস্থলে যাওয়া হয়নি।” কিনাই ছড়া লিজ দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি প্রতিক্রিয়া জানান, “তারা লিজ দেওয়ার কে?”

এলাকাবাসীর অভিযোগ, অভিযোগ দেওয়ার পরও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না থাকায় অবৈধ বালু উত্তোলন চলছে আগের মতোই। এতে পরিবেশ ও কৃষিজমি ধ্বংসের পাশাপাশি জনজীবনে নেমে এসেছে আতঙ্ক।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতরপূর্বতন