সিলেটে ৩০ লাখ শিশুকে দেওয়া হবে টাইফয়েড টিকা

টিকা গ্রহণের মাধ্যমে আজকের শিশু হবে ভবিষ্যতের সুস্থ নাগরিক



এমদাদুর রহমান চৌধুরী জিয়া 

ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াজনিত যেকোনো সংক্রামক রোগ শিশুদের শরীরে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে পারে, এমনকি মৃত্যুও ঘটাতে পারে। টিকাই হচ্ছে এ ধরনের রোগের বিরুদ্ধে কার্যকর সুরক্ষা ব্যবস্থা। টিকা গ্রহণের মাধ্যমে আজকের শিশু হয়ে উঠবে আগামী দিনের সুস্থ নাগরিক—বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে টাইফয়েড টিকাদান কার্যক্রম বিষয়ে আয়োজিত বিভাগীয় পর্যায়ের পরামর্শমূলক কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মুহম্মদ হিরুজ্জামান।

তিনি বলেন, “টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করতে গণমাধ্যমের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সাংবাদিকরা সহজেই জনসাধারণের কাছে পৌঁছাতে পারেন, তাঁদের লেখনী ও বক্তব্য জনগণের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য। তাই টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি, গুজব ও অপতথ্য মোকাবেলায় গণমাধ্যমকর্মীরা অগ্রগামী ভূমিকা রাখবেন বলে আমরা আশা করি।”

কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী। তিনি বলেন, “শিশু-কিশোরদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে তাদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি সুস্থ ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গঠনে সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। সাংবাদিকদের ইতিবাচক সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে এ উদ্যোগ সফল হবে।”

কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. আনিসুর রহমান, সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. মো. নাসির উদ্দিন এবং ইউনিসেফের সিলেট অঞ্চলের প্রধান কাজী দিল আফরোজ ইসলাম।

স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশাসন ও উন্নয়ন) মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার।

এছাড়া জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট, সিলেট জেলা তথ্য অফিস, আঞ্চলিক তথ্য অফিস ও বাংলাদেশ বেতারের কর্মকর্তাবৃন্দ কর্মশালায় অংশ নেন।

উন্মুক্ত আলোচনায় সাংবাদিকরা টাইফয়েড টিকা নিয়ে গুজব প্রতিরোধ, রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া এবং টিকা-সংক্রান্ত বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য প্রচারে বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন।

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, সিলেট সিটি করপোরেশনে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত স্কুল পর্যায়ে ৬৭.০২ শতাংশ শিশুকে টিকাদানের আওতায় আনা হয়েছে। বিভাগজুড়ে স্কুল পর্যায়ে ৫৭ শতাংশ এবং স্কুল ও কমিউনিটি পর্যায় মিলিয়ে প্রায় ৩৭ শতাংশ শিশুকে ইতিমধ্যে টিকা দেওয়া হয়েছে।

সিলেট বিভাগে প্রায় ৩০ লাখ শিশুকে টাইফয়েড টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতরপূর্বতন