গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারই জনগণের মুক্তির সংগ্রাম : আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী


দক্ষিণ সুরমা প্রতিনিধি :

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি জননেতা আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা আজ আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। দেশের অর্থনৈতিক বিকাশ ও সামাজিক স্থিতিশীলতার মূলভিত্তি হলো গণতন্ত্রের চর্চা, যা কেবল রাজনৈতিক দল নয়—প্রত্যেক নাগরিকের মধ্যেও বিকশিত হতে হবে।

তিনি বলেন, “বিএনপির রাজনীতি মানে জনগণের জীবনমানের উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তোলা।”
ধানের শীষের পক্ষে সকল নেতাকর্মী ও সমর্থককে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বিএনপি একটি শৃঙ্খলাবদ্ধ, আধুনিক ও ভবিষ্যতমুখী বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আন্দোলনে যারা ভূমিকা রেখেছেন, দল তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করবে।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের মখনদোকান ও হাজরাই বাজারে পৃথক সভায় বিএনপির ঘোষিত ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে’ আয়োজিত গণসংযোগ ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, “ফ্যাসিবাদী অপসংস্কৃতি দূর করে রাজনৈতিক সহনশীলতার পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। মতভেদ রাজনীতির স্বাভাবিক নিয়ম, কিন্তু জনগণের প্রতি দায়িত্বের প্রশ্নে ঐক্যই আমাদের আসল শক্তি। প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক সংস্কৃতির মৌলিক পরিবর্তন অপরিহার্য।”

তিনি আরও বলেন, “আগামী বাংলাদেশ কেমন হবে—স্বাস্থ্যব্যবস্থা, আইনের শাসন, কৃষি ও জনপ্রশাসন কেমন হবে, মানুষের মৌলিক চাহিদা কীভাবে পূরণ করা হবে—এসব বিষয় বিএনপি তার ৩১ দফা কর্মসূচিতে স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছে।”

তিনি গণতন্ত্রবিরোধী কোনো ষড়যন্ত্র দেখা দিলে রাজপথে থেকে তা প্রতিহত করার আহ্বান জানান।
এ সময় বিএনপির ঘোষিত ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচি’ জনগণের মাঝে তুলে ধরা হয়।

গণসংযোগ ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন—ডা. এনামুল হক, হাজী বশির আহমদ, বাচ্চু মিয়া, মাহবুব আলম, মনিরুল ইসলাম তুরন, আবুল হাসনাত, আফতাব উদ্দিন, আশরাফুল আলম বাহার, আব্দুল মালিক মল্লিক, পাবেল রহমান, আফরোজ মিয়া, মইনুল ইসলাম মঞ্জুর, নুরুল ইসলামসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

কর্মসূচিতে বিপুলসংখ্যক স্থানীয় জনগণের উপস্থিতি ছিল।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতরপূর্বতন