রাজনগর উপজেলার খেয়া ঘাট বাজারের চারমুখী গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে গড়ে তোলা হয়েছে সিএনজি ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার একাধিক অবৈধ স্ট্যান্ড। এসব স্ট্যান্ডে প্রতিদিন চলছে শ্রমিকদের দখলদারী, যাত্রী হয়রানি, তর্ক-বিতর্ক ও মারামারির মতো ঘটনা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন অর্ধলক্ষাধিক সাধারণ মানুষ।
সরেজমিন দেখা যায়, খেয়া ঘাট বাজারের চারদিকের সড়কে সারি সারি অটোরিকশা ও সিএনজি রাখা হয়েছে। রাজনগর সদর, চাঁদনীঘাট, কুসুমভাগ, হলদিগুল বাঁধ ও কালার বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় যাওয়ার একমাত্র সংযোগপথ এই চারমুখি মোড়। এখান থেকেই প্রতিদিন রাজনগর ও বালাগঞ্জ উপজেলার বিপুলসংখ্যক স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ খেয়া পারাপার হন। ফলে সড়কের অবৈধ দখল ও যানজটে প্রায় স্থবির হয়ে পড়ে চলাচল।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাজার পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ জানান, রাস্তার ওপর অবৈধভাবে গাড়ি রাখার কারণে নিয়মিত যানজট লেগে থাকে। এতে যাত্রী ও পথচারীরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হন। তাঁরা দ্রুত বিকল্প জায়গায় আলাদা স্ট্যান্ড করার দাবি জানান।
শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবুল আহমদ বলেন, “সরকারি জমি বেদখল থাকায় নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা প্রশাসনের কাছে বহুবার জায়গা নির্ধারণের অনুরোধ জানিয়েছি।”
খেয়া ঘাট বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান জামি আহমদ বলেন, “চারমুখি পয়েন্টের সরকারি জমি আবারও দখল হয়ে যাওয়ায় শ্রমিকরা সড়কেই গাড়ি রাখছেন। এতে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। প্রশাসন উদ্যোগ নিলে সমন্বিতভাবে বিকল্প স্ট্যান্ড করা সম্ভব।”
রাজনগর থানার ওসি মো. মোবারক হোসেন খান বলেন, “সড়কের ওপর অবৈধভাবে গাড়ি রাখার বিষয়টি পরবর্তী উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা সভায় উত্থাপন করা হবে। সম্মিলিতভাবে সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হবে।”