৮ মাস পর নড়ছে শিক্ষা অফিস
বড়লেখা সরকারি (টিটিসি) প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রনজিৎ কুমার দাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে অবশেষে তদন্ত শুরু হচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, তিনি সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎ, বিদ্যালয়ের সম্পদ বিক্রি ও বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে ব্যক্তিগতভাবে আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন।
প্রায় এক বছর আগে স্থানীয় ১৩ জন এলাকাবাসী প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় উপপরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ করলে চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু জেলা শিক্ষা অফিসের এক সহকারী ঘুষের বিনিময়ে ওই চিঠি আট মাস গোপন রাখেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি অভিযোগকারীরা বিভাগীয় কার্যালয়ে তাগাদা দিলে তদন্ত কার্যক্রম পুনরায় সক্রিয় হয়। নতুন নির্দেশে আগামী সোমবার জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান সরেজমিন তদন্তে যাচ্ছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের পুরোনো প্রাচীর, ফটক ও ফার্নিচার বিক্রির টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া সরকারি বরাদ্দের দেড় লাখ টাকারও বেশি প্রকল্প অর্থ আত্মসাৎ ও মাঠের গাছ কেটে ফেলার অভিযোগও রয়েছে।
অভিযোগকারী তারেক আহমদ বলেন, “ইউএনও বরাবর অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাইনি, তাই বিভাগীয় অফিসে লিখিত অভিযোগ দেই।”
তদন্ত কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বলেন, “সোমবার সরেজমিন তদন্তে যাচ্ছি, অভিযোগকারী ও অভিযুক্ত উভয়কেই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।”
