স্টাফ রিপোর্ট
ইছামতি দারুল উলূম কামিল মাদ্রাসার চারজন অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ শিক্ষককে জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিদায়ী সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। সংবর্ধিত শিক্ষকরা হলেন— মাওলানা মো. আজিজুর রহমান তাপাদার বারগাত্তী হুজুর, মাওলানা মো. আব্দুল খালিক, মাস্টার মাসুক আহমদ ও হাফিজ মো. নাঈম উদ্দিন।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ১১টায় মাদ্রাসা কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. শিহাবুর রহমান চৌধুরী। প্রধান অতিথি ছিলেন মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি মাওলানা মো. ছালিক আহমদ তাপাদার।
সহকারী অধ্যাপক মাওলানা মো. আব্দুল লতিফ শামীম ও হবিবিয়া ছাত্র সংসদের ভিপি আহমদ হোসেন আইমানের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথিরা তাঁদের শিক্ষকতা জীবনের স্মৃতিচারণা করে আবেগঘন বক্তব্য রাখেন।
শিক্ষকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন উপাধ্যক্ষ মাওলানা মো. আতিকুর রহমান ছিদ্দিক, মুহাদ্দিস মাওলানা মোহাম্মদ ওয়ারিস উদ্দিন তাপাদার, সহকারী অধ্যাপক মাস্টার নজরুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক মাস্টার মুহি উদ্দিন চৌধুরী ও মাওলানা দেলওয়ার হোসেন চৌধুরী।
শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন সাবেক শিক্ষার্থী মাওলানা মো. আকতারুজ্জামান, হবিবিয়া ছাত্র সংসদের জি.এস. মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী ও আলিম দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবিদুর রহমান চৌধুরী। কামিল শ্রেণির শিক্ষার্থী মিছবাহ উদ্দিন চৌধুরী সংবর্ধিত শিক্ষকদের সম্মানে মানপত্র পাঠ করেন।
অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আমান আহমদ, আর নাতে রাসূল পরিবেশন করেন আহমদ আল আমান ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাহানা আক্তার সাথী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন— মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ শিক্ষক হাফিজ মো. নাঈম উদ্দিন, গভর্নিং বডির সদস্য বদরুল ইসলাম, মুহাদ্দিস মাওলানা মো. আব্দুল বাছিত হাতিডহরী, প্রভাষক মাওলানা হেলাল আহমদ তাপাদার, মাস্টার সেলিম রেজা, মাস্টার মোখলেসুর রহমান, মাওলানা শাহীদুর রহমান, মাওলানা আব্দুল করিম, মাওলানা নুরুজ্জামান, মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক চৌধুরী, মাওলানা কালামুল্লাহ মো. রায়হান, মাস্টার আকরাম হোসেন, সহকারী শিক্ষক মাস্টার সিরাজ উদ্দিন, মাস্টার মনির হোসেন, মাওলানা আতাউর রহমান, মাওলানা ইমরান হোসাইন, মাওলানা আহমদ আল মাসরুর, মিসেস রোজিনা খাতুন, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম, মাস্টার হোসেন আহমদ খান, মাওলানা শরীফ উদ্দিন ও মাওলানা অলিউর রহমান।
শেষে সংবর্ধিত শিক্ষকদের হাতে মাদ্রাসার শিক্ষক–কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট, মানপত্র ও স্মারক উপহার তুলে দেওয়া হয়।