শিক্ষকরা বলেন, “শিক্ষককে অপমান করা মানে গোটা শিক্ষা সমাজকে অপমান করা। দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাব।”
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে উপজেলার বাদেদেওরাইল ফুলতলী কামিল মাদরাসা, ইছামতি দারুল উলুম কামিল মাদরাসা, জকিগঞ্জ সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা, গঙ্গাজল হাসানিয়া সিনিয়র মাদরাসা, মাহমুদুর রহমান মজুমদার বিদ্যানিকেতন, গোলাম মোস্তফা চৌধুরী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, লুৎফুর রহমান হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, থানাবাজার লতিফিয়া দাখিল মাদরাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দিনব্যাপী কর্মবিরতি পালিত হয়।
স্থানীয় শিক্ষকরা জানান, ঢাকায় শিক্ষক নির্যাতনের ঘটনার পর দেশব্যাপী যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে, জকিগঞ্জের শিক্ষক সমাজও কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে আজকের এই কর্মবিরতিতে অংশ নিয়েছে।
আন্দোলনকারী শিক্ষকদের দাবির মধ্যে রয়েছে— ২০ শতাংশ বাড়ি ভাতা প্রদান, প্রতি শিক্ষককে ১,৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা প্রদান এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন কাঠামো ও সুবিধার পুনর্বিন্যাস।
কর্মবিরতির কারণে সোমবার উপজেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ থাকে। এতে শিক্ষার্থীরা পাঠচক্র থেকে বঞ্চিত হয় এবং অভিভাবকদের মধ্যেও হতাশা দেখা দেয়। তবে শিক্ষক সমাজ জানিয়েছে, তাদের ন্যায্য দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।